বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার নেশা পেয়ে বসলে সরকার এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয় যে দেশের মানুষের কথা ভুলে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা খুন, গুম, অত্যাচার শুরু করে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ এখন সে পরিস্থিতিতে আছে। পুরো বাংলাদেশই এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাশেদ ইকবাল খান মুক্তি পরিষদ প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের রাজনীতি করি। আমরা সরকারের বিরোধী নই, সরকারের অন্যায়ের বিরোধী। সংবিধান বলে, সরকারের ভুল কাজে জবাবদিহি নিশ্চিত করা বিরোধী দলের কাজ। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’ তাঁর অভিযোগ, সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী দলকে নিঃশেষ করতে চায়।
আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র হচ্ছে, তারা কথা বলতে চায়, চিন্তার স্বাধীনতা চায়। স্বাধীনতার এত বছর পর কি আমরা তা অর্জন করেছি? এই প্রশ্ন তরুণ প্রজন্মকে করতে হবে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, যে দল গণতন্ত্র চায় না, তারা কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের হতে পারে?
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে, বিএনপিতে মানুষের আস্থা নেই। তাহলে ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ কীভাবে সফল হয়েছে?
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের প্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করতে পারিনি। যেদিন মুক্তি করতে পারব, তখন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। সরকারের পতন হবে। এখন আইনের শাসন নেই। একই সময় একই মামলায় কেউ জামিন পায়, কেউ জামিন পায় না। এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সহসভাপতি করিম প্রধানের সঞ্চালনায় সভাটি হয়।