কারাগারে দগ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামে এক বন্দী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীর কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ফরিদ আলমের ছেলে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ থানার একটি মাদক মামলায় সাজা হয় জাহাঙ্গীরের।
পরে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন। সেখানে গত ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বন্দীদের জন্য সেমাই রান্না করার সময়, গরম সেমাই গায়ের উপর পরে দগ্ধ হন তিনি।
পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ)-এর অধীনে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৩% শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। ‘
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন নিহত জাহাঙ্গীরের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ‘
মর্গ সূত্র জানায়, বিকেলে জাহাঙ্গীরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মৃতদেহটি হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। স্বজনরা আসলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।