তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আজ চট্টগ্রাম পিআইডি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম পিআইডির সংবাদ কক্ষ, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বর্ষপঞ্জি, ফটোগ্যালারী পরিদর্শন করেন।
তিনি এ অফিসের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে পরিচিত হোন এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ খবর নেন।
চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম যথা প্রেসট্রেন্ড, প্রেস ক্লিপিংস, তথ্যবিবরনী, ফিচার, ফটোরিলিজ, মতবিনিময় সভা ইত্যাদি মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সচিবের নিকট তুলে ধরেন।
পরে বক্তৃতায় প্রেস ট্রেন্ডের বিষয়ে সচিব বলেন, প্রেসট্রেন্ড ও প্রেসক্লিপিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, এগুলোর মাধ্যমে জনদূর্ভোগগুলো বিভাগীয় কমিশনার, জেলাপ্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নিকট তুলে ধরা যায়। পরবর্তীতে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে জনসমস্যা সমাধান করা যায়।
সচিব বলেন, সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছে। এখন চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকেও স্মার্ট সিটিজেন হতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট হওয়া মানে শুধু পোষাক পরিচ্ছদে স্মার্ট হওয়া না, নিজ নিজ কাজে দক্ষ হওয়া ।
তথ্যসচিব আরো বলেন, সামনে এমন বিশ্ব আসবে যেখানে রোবট মানুষের অর্ধেক কাজ করে দেবে । চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যন্ত্র মানুষের সমস্যা নিজ থেকে চিহ্নিত করে তা সমাধান করে দেবে। সব কিছু অটোমেটেড হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যন্ত্র দৈনন্দিন কাজ করলেও মানুষ বেকার হবে না বরং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তখন মানুষ নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী আয় করবে- গ্রেড ভিত্তিক বেতনের সুযোগ থাকবে না।
স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হতে নিজকে পরিবর্তন করে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সরকারি কর্মচারী হওয়ার জন্য তিনি এ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম পিআইডি’র সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমা, তথ্য অফিসার জি.এম সাইফুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে সচিব বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।