আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশ বিশেষ উদ্যোগ: প্রেক্ষিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি” শীর্ষক মতবিনিময় সভা আজ রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কুমার কার্বারি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পিআইডি চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর, রামগড় পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল, পিআইডি চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো. মফিজুর রহমান, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, রামগড় তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন প্রমূখ। সভায় বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আজিজুর রহমান আনজুম।
সভায় আলোচকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ মানুষের ভাগ্য ফিরিয়েছে। দশ উদ্যোগের মাধ্যমে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ তাদের আশ্রয় চিকিৎসা শিক্ষা নিরাপদ পরিবেশসহ যাপিত জীবনের সব চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে। দশ উদ্যোগের সুফল নিয়ে সাধারণ মানুষ বর্তমানে স্বাবলম্ভী হয়েছে। এ দশ উদ্যোগ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এতে বিষয় ভিত্তিক বক্তব্যে দেশব্যাপী পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পাশাপাশি রামগড় উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিভিন্ন ভাতা প্রদানের তথ্যাবলী উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন ভাতা পেয়ে বয়স্ক ভিক্ষুক বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা প্রভৃতি নিংস্ব মহিলারা বর্তমানে নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এখন সুন্দর জীবন যাপন করতে পারছে।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার। এ দশ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব চিন্তা চেতনার ফসল। দশ উদ্যোগ সমতল ও পাহাড়ে একইভাবে মানুষের কাছে মর্যাদাশীল জীবন যাপনের মূলমন্ত্র হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ দশ উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
এ দশ উদ্যোগ এখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চর্চিত হচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিকভাবে বাস্তবায়িত এসডিজির বিভিন্ন লক্ষ্যের মধ্যে দশ উদ্যোগ অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। উপকারভোগীসহ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, পূর্বের এনালগ পদ্ধতিতে কিছু ভুল হতে পারে। তবে বর্তমানে অনলাইনে আবেদন গ্রহন ও ভাতা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় অনিয়ম হওয়ার সুযোগ কম। তারপরেও সুবিধাভোগী নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে আরো যত্নবান হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা দশ উদ্যোগের বিভিন্ন সুফল ও এসব উদ্যোগ আরো গণমূখি করতে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন। তারা বলেন, দশ উদ্যোগ বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলে এখনো যারা এ খাতের আওতায় আসেননি তারা এ কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারবে। বক্তারা প্রচারণা বিষয়ে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমুহের আরো সক্রিয় উদ্যোগ কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি, হেড়ম্যান কার্বারি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপকারভোগীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে প্রায় ৭০ জন অংশ গ্রহণ করেন।