আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। দুই দলকে নিয়েই এখন চর্চা তুঙ্গে। তখনই এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপে জয়ী, রানারআর্প বা অংশ নেয়া দেশগুলোর প্রাইজ মানির পরিমাণ।
এনবিসি শিকাগোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৪২ মিলিয়ন ডলার। রানার্সরা ৩০ মিলিয়ন ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল পাবে ২৭ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া চতুর্থ স্থানের দলটি ২৫ মিলিয়ন ডলার পাবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে অংশ নেয়া ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ইংল্যান্ড প্রত্যেক দলের জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলার করে প্রাইজ মানি বরাদ্দ রয়েছে।
নকআউট পর্বের ষোলো দল পাবে ১৩ মিলিয়ন ডলার করে। গ্রুপ পর্বের প্রত্যেক দলের জন্য রয়েছে ৯ মিলিয়ন ডলার করে প্রাইজ মানি।
তবে খেলোয়াড়রা কত টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তা নির্ভর করে সেই দল কীভাবে পুরস্কারের অর্থ ভাগ করবে এর ওপর। যেমন ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জিতলে প্রতিটি খেলোয়াড়কে প্রায় ৪ লাখ দেয়ার কথা বলেছিল জার্মানি। শুধু সেমিফাইনাল বা কোয়ার্টার ফাইনালে খেললে থাকবে ছোট বোনাস। একই বিশ্বকাপে ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয় স্পেন।
আবার প্রাইজ মানি ও বোনাসের কারণে জাতীয় দলের নির্ধারিত বেতনের চেয়ে বেশি আয় করে খেলোয়াড়রা। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে প্রায় ২২ হাজার ৩০০ ডলার করে নিয়েছেন। তবে এটি ছিল টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার বোনাসের অতিরিক্ত। এমবাপ্পে পরবর্তীতে পুরো আয় দাতব্য কাজে ব্যয় করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর ফ্রান্স ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে জয়ের স্বাদ পায়। এছাড়া ফাইনাল ম্যাচের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এমবাপ্পেও তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া। তাহলে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দুবার বিশ্বকাপ জিতে পেলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন। সব মিলিয়ে এই জয়ের নানান সমীকরণ রয়েছে।