জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল পর্যন্ত নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে সরকার। বাল্যবিবাহ ও নারী সহিংসতা প্রতিরোধের মাধ্যমে লিঙ্গবৈষম্য অর্জনে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, নারীশিক্ষায় অগ্রগতি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অতিদরিদ্র নারীদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা, মেয়েদের উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করে স্বাবলম্বী হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা বিস্তৃত করেছে।’
‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সরকার দরিদ্র শ্রেণির পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছ ‘ জানিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ইউএনডিপি বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সংসদ সদস্যদের এলাকাভিত্তিক ‘মাই কনস্টিটিউয়েন্সি’ অ্যাপে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি, দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুৎ সুবিধা, কৃষি, শিশুমৃত্যু হ্রাস, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি মৌলিক খাতসমূহের তথ্যাদি এলাকাভিত্তিক সন্নিবেশিত থাকবে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে ইউএনডিপি বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
জবাবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অন্য উন্নয়ন দৃশ্যমান। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকেই ইউএনডিপি বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।