ঢাকামঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার।

অন্যদিকে, আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের যাত্রাবাড়ীর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

সিটিটিসির প্রধান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে শফিকুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে শফিকুরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সাইফুল্লাহ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক। এর আগে ১ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সাইফুল্লাহর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শফিকুর রহমান ও তাঁর ছেলে সাইফুল্লাহর সঙ্গে শারক্বীয়ার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ২০২১ সালের জুনে প্রথমবার সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জন দুর্গম পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে হিজরত করেছিলেন। কিন্তু সে সময় কেএনএফ ও শারক্বীয়ার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। চট্টগ্রাম থেকে তাঁদের দুটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ও সিলেটে নেওয়া হয়। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাঁদের ফিরিয়ে আনেন শফিকুর রহমান। যাঁরা হিজরত করেছিলেন, তাঁরা আগে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

শফিকুরের ছেলে সাইফুল্লাহ জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার আগে আনসার আল ইসলামে যোগ দিয়েছিলেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, আনসার আল ইসলামে থাকাকালে তাঁর মাধ্যমে সিলেট অঞ্চল থেকে অনেকে ওই সংগঠনে যোগ দেন। পরে শারক্বীয়ার দাওয়াত পেয়ে তিনি সেখানে যুক্ত হন। সিলেটে শফিকুরের বাসায় সাইফুল্লাহ সহযোগীদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। শফিকুর বিষয়টি শুধু জানতেন, তা নয়, ক্ষেত্রবিশেষে তিনি এ বিষয়ে সাইফুল্লাহকে সহযোগিতা করেছেন। হিজরতে যাওয়া সদস্যদের ব্যয়ভার শফিকুর নিজে বহন করেছেন।