ঢাকারবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিভাগীয় সমাবেশে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি – মো:নিজাম উদ্দিন 

মো. নিজাম উদ্দিন | রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ৩:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এক.

ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার মাধ্যমে বিএনপি দশটি বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করলো।চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে এখন বিএনপি এই বিভাগীয় সমাবেশ গুলো থেকে আসলে কী পেল?কী তার অর্জন?বিএনপি কী এমন

কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমেই স্বৈরাচার বিদায় নিবে,আর সেটা পারলো না?বিষয়টি এমন ছিল না নিশ্চয়ই।সদ্য সমাপ্ত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলো ছিল বিএনপির দেশব্যাপী একটা ওয়ার্মআপ কর্মসূচী।এই কর্মসূচী ছিল নেতাকর্মীদেরকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসার কর্মসূচী,বিএনপিকে মাঠে নিয়ে আসার কর্মসূচী।ভয়হীন পরিবেশ নিশ্চিত করার কর্মসূচী।জনমত তৈরি করার কর্মসূচী।দেশবাসীকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলার কর্মসূচী।যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি দশটি বিভাগীয় সমাবেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ঘোষণা করে ছিল দলটি তার উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। চায়ের কাপে,পত্রিকায় পাতায়,টেলিভিশন টকশো, লোকাল ট্রেনে,বাসে,লঞ্চে বিগত মাস দুয়েক যাবত বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশের সংবাদই ‘টক অব দি কান্ট্রি’।

 

বিএনপি কেন বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল?বিএনপির সমাবেশে দাবী গুলো ছিল দ্রব্য মূল্যের দাম কমানো,ডিজেল কেরোসিন,বিদ্যুৎ,গ্যাস,জ্বালানি মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য।বিএনপি এই সমাবেশের ডাক দিয়ে ছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য।যে নেত্রী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে আজ গৃহবন্দী।বিএনপি এই সমাবেশের ডাক দিয়ে ছিল ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। লাখ লাখ নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য।গুম প্রিয় জনের ফেরতের দাবিতে।লক্ষ্য করে দেখবেন বিএনপি যে দাবি গুলো নিয়ে এবার মাঠে নেমে ছিল তার প্রত্যেকটি দাবীই এদেশের গণমানুষের প্রাণের দাবী।আম জনতা এগুলোকে আন্তরিক ভাবেই সমর্থন জানিয়েছে।বিএনপি তার যে দাবী গুলোর উপর ভিত্তি করে বিভাগীয় সমাবেশে দেশব্যাপী একটা শক্তিশালী জনমত তৈরি করতে চেয়ে ছিল তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।বিগত তিন চার মাসেই বিএনপি জন সম্পৃক্ত আন্দোলন করতে গিয়ে হারিয়েছে আব্দুর রহিম, শাওন, নুরে আলম, মকবুলদের।যারা অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবন দিয়েছে। মানুষ হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় বিএনপির ডাকে সারা দিয়েছে।বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি প্রমাণ করতে পেরেছে বাংলাদেশে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি।অঘোষিত হরতাল অবরোধ দিয়েও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জনসমুদ্র আটকানো যায়নি।

 

দুই.

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচীটি শুরু হয়েছিল।ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে তা শেষ হলো।ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে একজন রিক্সা চালক সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ফ্রীতে সার্ভিস দিয়েছে। রংপুরে আশি বছরের হেকমত আলী গ্রাম থেকে সমাবেশে এসেছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য।খুলনার সমাবেশে জনসমুদ্রের ঢেউ কাঁপিয়েছে দক্ষিণ বঙ্গ।বরিশালের সমাবেশে নেতাকর্মীরা ভেলায় নদী পেরিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছে।চট্টগ্রামে রাস্তায় হামলা করেও থামানো যায়নি।সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওর থেকে সাধারণ মানুষ সিলেট সমাবেশে যোগ দিয়েছে।রাজশাহীতে চিড়ামুড়ি নিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে মুক্তিকামী জনতা।কর্মীদের সাথে নেতারা সমাবেশ স্থলের মাঠে একই তাবুতে ঘুমিয়েছে।নেতাকর্মী খিচুড়ি খেয়ে মাঠেই রাত কাটিয়েছে।গ্রাম থেকে চিড়ামুড়ি আর গুড় নিয়ে পায়ে হেটে,বাসে,লঞ্চে, রিক্সায় রাজনৈতিক সমাবেশে আসার নজীর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিকট অতীতে একদমই ছিল না।এইটা বিউটি অব পলিটিক্স।তৃণমূলকে সম্পৃক্ত করার গণমুখী রাজনীতির যে নতুন সম্ভাবনা বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশে করতে পেরেছে তার সুফল দলটি আগামী দিনেও পাবে।সবচেয়ে বড় যে কাজটি হয়েছে তা হলো বিএনপি এই সমাবেশের মাধ্যমে একটি ভয়হীন পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।বিএনপি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে।বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে নতুন শক্তিতে,নতুন গতিতে, এগিয়ে যাচ্ছে।যেটা প্রয়োজন তা হলো লড়াইটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।বিএনপি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও জনপ্রিয়।

 

তিন.

বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী। তারেক রহমান নির্বাসনে।

কিন্তু বিএনপি দুমাস ধরে চলতে থাকা একটা এত বড় কর্মসূচী বেশ সফলতার সাথেই শেষ করে ফেললো।কিভাবে এটা সম্ভব হলো?এত নিপীড়ন, নির্যাতন, মামলা হামলার পরেও?এর উত্তর একটাই পার্টির লিডারশীপ।নেতৃত্ব।তারেক রহমানের নেতৃত্ব।তারেক রহমান এখন বিএনপিকে সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। পার্টিতে, সকল পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বের সাথে সরাসরি যুক্ত থেকে, নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে,বিএনপিতে নতুন প্রাণের স্পন্দন সৃষ্টি করেছেন তারেক রহমান।বিভাগীয় সমাবেশ গুলো সুন্দর ভাবে,অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল করায় প্রমাণ হয়েছে বিএনপিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব শর্তহীন আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত।বিএনপির সমাবেশ গুলো সফল করার মূল নায়ক বাংলাদেশের জনগণ।মুক্তিকামী মানুষের নেতা তারেক রহমান,বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব তারেক রহমান।বেগম খালেদা জিয়া বন্দী।তিনি মুক্ত নন।সমাবেশ গুলোতেও থাকতে পারলেন না।অথচ তিনি না থেকেও যেন অনেক বেশি ছিলেন। সমাবেশ সফল হয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে।বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এইসব সমাবেশের মূল আকর্ষণ।বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছে প্রতিটি সমাবেশ। ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছে বাংলাদেশ।এই সমাবেশ গুলো প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এখনো আকাশচুম্বী।বিএনপির জন প্রিয়তা সমাবেশের মাধ্যমে অতীতের চেয়ে অনেক বেড়েছে।নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে জীবন বাজী ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এটা একটা রাজনৈতিক দলের অনেক বড় স্ট্রেন্থ।রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্তই শতভাগ সঠিক হয়না।কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশে দেশব্যাপী দলটির পক্ষে যে গণ জোয়ার সৃষ্টি করতে পেরেছে তা অনেক বড় অর্জন।ঢাকায় এত অনিশ্চয়তার মধ্যেও সমাবেশ সফল করে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে না বলে দিয়েছে।এক দারুণ জবাব দিয়েছে।

 

চার.

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই কর্মসূচীটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। নয়াপল্টনের ঘটনায় বিবিসি,গার্ডিয়ান,ওয়াশিংটন পোস্ট,আল জাজিরা,ডয়েচে ওলে সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পজিটিভ জনমত তৈরি হচ্ছে। আমেরিকা নয়াপল্টনে পুলিশি হামলার তদন্ত চেয়েছে।জাতিসংঘ এবং আমেরিকা বিবৃতি দিয়েছে।মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চৌদ্দটি রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে অবাধ নিরপেক্ষ এবং অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে তা কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার জন্য খুব ভালো সংবাদ নয়।গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ পত্র অলরেডি পাঠিয়ে দিয়েছে।এই পদত্যাগের ঘোষণা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের শেষ কর্মসূচীতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।জাতীয় পার্টির এমপিদের উপরও এখন রাজনৈতিক চাপ বাড়বে।বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করুক মানুষও এমন কিছুই শুনতে চাচ্ছিল।বিএনপির সাত জন এমপি হলেও সর্বশেষ মোটামুটি গ্রহণ যোগ্য নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তেত্রিশ পার্সেন্ট ভোট পেয়েছিল।কিন্তু আসন ছিল মাত্র ত্রিশটা।ভোটের পার্সেন্টিজে হিসাবে করলে নবম সংসদে নিরান্নব্বইটা আসন পেত বিএনপি।মহিলা আসন পেতো ষোলটি প্লাস। তার মানে সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাপকাঠি ধরলেও সংসদে এখনো বিএনপির একশো পনেরোটি আসনের ভোটের প্রতিনিধিত্ব করে।সুতরাং বিএনপির সাতজন এমপি মানে সাতজন নয়।বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের এমপিরা পদত্যাগ করেছে।সুতরাং ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে।

 

পাঁচ.

 

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপি একটি দশ দফার দাবিনামা ঘোষণা করেছে।দশ দফার অন্যতম দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। মানুষ ভোট দিতে পারেনা।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। সেটা যে নামেই হোক।বিএনপির দশদফার প্রতি ইতোমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল সমর্থন জানিয়েছে। আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। এখন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির লক্ষ্য হওয়া চাই ঐক্যবন্ধ হওয়া। যুগপৎ আন্দোলনে শরীক হওয়া।বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে যে রাজনৈতিক দল গুলো নিরব থাকবে, জনগণের দাবির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক শক্তি তাদের থাকবে না, সেটা ডান বাম মধ্যে উদারপন্থী যেই হোক না কেন।বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে পার্টি নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। বিএনপির একক রাজনৈতিক সক্ষমতা ও গ্রহণ যোগ্যতা দুটিই বেড়েছে।মানুষ স্বপ্ন দেখে আগামী দিনে বিএনপির নেতৃত্বে এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

 

রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট কিছু সুনির্দিষ্ট কর্মসূচীর ভিত্তিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপিও এর বাইরে নয়।দেড় দশকের বেশি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিল বিএনপি।জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নতুন পরিচয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএনপি অতীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিশনারী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। ছিয়ানব্বইয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে শুধু মাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করে পনের দিনের মাথায় ক্ষমতা ছেড়েছে।বিএনপি চাইলে সে সময় জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারতো কিন্তু সে পথে বিএনপি হাটেনি।বিএনপি ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতি কমিটেড।অতীতেও।এখনও। ভবিষ্যতেও।বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলেকী করতে চায় সেই বার্তা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে।বিএনপি এখন টক অব দি কান্ট্রি।

বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।যে জনমত তৈরি হয়েছে এটাকে ধরে রাখার উপরই নির্ভর করবে বিএনপির ভবিষ্যত।

 

লেখক :রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

(সিটিজি পোস্টের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, সিটিজি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার  সিটিজি পোস্ট নিবে না।)