এশিয়া দুই ফুটবল শক্তি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এবারের কাতার আসরে সবার নজর কেড়েছে বিশেষ এক কারণে। আর সেটি হচ্ছে গতি। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে দল দুটির গতিতে ধরাশায়ী হয়েছে জার্মানি, স্পেন আর পর্তুগালের মতো ইউরোপের জায়ান্টরা।
তাই, শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নামার আগে ব্রাজিলের রক্ষণকে দক্ষিণ কোরিয়ার গতি ও প্রতিআক্রমণ থেকে সাবধান করে দিয়েছেন সে দেশের ফুটবল কিংবদন্তী টোস্টাও। পেলের সঙ্গী হয়ে তিনি নিজে ঘুম কেড়ে নিতেন বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের।
সেই টোস্টাও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সাবধান করে বলছেন, নক-আউট পর্বে ছোট দলগুলো যেটা করে, তা হল আট-ন’জন মিলে ঘিরে জায়গা ছোট করে দেয়া এবং তার পরেই প্রতিআক্রমণ। জাপান ও কোরিয়া গতি দিয়ে এটা বারবার করেছে।
ব্রাজিল রক্ষণভাগ নিয়ে অবশ্য চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ নির্ভরযোগ্য মার্কুইনহোসকে চোটের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না। দানিলোর খেলতে পারবেন কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
আবার, অ্যালেক্স স্যান্ড্রোকে পাওয়া যাবে না দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ম্যাচে। তাই ব্রাজিল কোচ তিতেকে লেফট-ব্যাক নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে বলে মনে করছেন টোস্টাও।
তিনি মনে করেন ঢিলে তালে খেলতে গেলে ব্রাজিল বিপদ ডেকে আনবে। এমনিতেই নড়বড়ে ডিফেন্স, তার ওপর নেইমার পুরোপুরি ফিট কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে টোস্টাওয়ের মনে।
দক্ষিণ কোরিয়া গতিকে অবহেলা করলে বড় বিপদ হতে পারে, তাই প্রিয় দলকে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছেন এই সাবেক বিশ্বজয়ী। তিনি মনে করেন, প্রতি আক্রমণে দক্ষিণ কোরিয়া বিপজ্জনক দল।
গেলো শনিবার আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের কথা মনে করিয়ে টোস্টাও বলছেন, আর্জেন্টিনার মতো বড় প্রতিপক্ষের সামনেও অস্ট্রেলিয়া সুযোগ তৈরি করেছিল। একবার গোল পাওয়ার খুব কাছেও চলে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগকে গোলে রূপান্তরিত করতে পারেনি প্রতিআক্রমণে গতি ছিল না বলে।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না বলেই মনে করছেন টোস্টাও। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যেই গতিময় ফুটবল উপহার দিয়েছে এই বিশ্বকাপে। কাজেই সাবধান ব্রাজিল!