১৯৮৮ সালের বাইসেন্টিয়াল কাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। স্কোর ছিল ১-৪। এর পরে ৬ ম্যাচের একটিতেই তাদের ড্র করা (১-১)। তা ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ বাছাই প্লে-অফে। ২০০৭ সালের পর ওই দুই দলের আর দেখা হয়নি।
বিশ্ব ফুটবলে অস্ট্রেলিয়া তেমন কোনো শক্তিই নয়। তবুও আজ অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করছেন আর্জেন্টিনার কোচ। গত দু’ম্যাচে মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ জয়ের পরও। আসলে ঘর পোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখার মতোই অবস্থা। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই হার আর্জেন্টিনার। তাও এশিয়ান দেশ সৌদি আরবের কাছে। আজ হারলেই বাড়ি ফিরতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে আরেক এশিয়ান পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। তাই তাদের ভয়তো হচ্ছেই নিওনেল মেসিদের। কোচও তাই সতর্ক সকারুজদের নিয়ে। তিনি জানান যদি, ‘আজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাই তাহলে অবশ্যই বিস্মিত হবো। এরপরো তাদের নিয়ে আমি সতর্ক।’
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার কোচ অবশ্য এশিয়ান বলেই যে অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করছেন তা উল্লেখ করলেন না। তার জবাব, ‘এশিয়ান হিসেবে নয়। আমরা যে মহাদেশের যে দলের বিপক্ষেই খেলি না কেন তাদের হিসেবে ধরি। আর অস্ট্রেলিয়াতো যোগ্য দল হিসেবেই এসেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।’
তিনি আরো জানান, অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ঐতিহ্য আছে। তারা এশিয়ার চার নম্বার দল হিসেবে কোয়ালিফাই করেছে এবার। তারা অবশ্যই কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমার দলের উপর পূর্ণ আস্থা জয়ের ব্যাপারে। তবে তাদের কাছে হারলে অবশ্যই বিস্মিত হবো।’
স্ক্যালোনি এখনো মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের সুখ স্মৃতি বয়ে চলেছেন। উল্লেখ করেন, আমরা মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে এবং পোলিশদের সাথে পুরো ৯০ মিনিট ভালো খেলেছি। সে ধারাই অব্যহত রাখতে চাই আজ দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে। ওই দুই জয়ই দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে নিয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়া উইং নির্ভর ম্যাচ খেলে। কাউন্টার অ্যাটাক তাদের আরেক অস্ত্র। আর্জেন্টিনার কোচ সেটাই জানান। তবে ইনজুরিতে পড়া ডি মারিয়া প্রসঙ্গে পরিষ্কার কিছুই বললেন না। তার দেয়া তথ্য, আমরা ডি মারিয়াসহ বাকিদের শেষ প্র্যাকটিস সেশন দেখবো। ডি মারিয়ার জন্য অপেক্ষা করবো ম্যাচের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। কোচ স্পষ্ট করেন, যারা ফিট থাকবে এবং একাদশে খেলার মতো যোগ্য তাদেরই নেয়া হবে একাদশে।
তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্ক্যালোনি। তার ক্ষুদ্ধ কণ্ঠ, অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে চার ঘণ্টা আগে প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচ খেলেছে। তারা বিশ্রামের সময়ও বেশি পেয়েছে। সেখানে আমাদের খেলতে হচ্ছে আরো কম সময়ের ব্যবধানে। গত পরশু সবাইকে বিশ্রাম দিয়ে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দিয়েছি।
তিনি যোগ করেন, মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়ের পর অতোটা খুশি ছিলাম না। পোল্যান্ডকে হারানোর পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। তবে ওই দুই জয়ের পর আমরা আরো আত্মবিশ্বাসী দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা উৎরাতে।