প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচারের মামলায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর মো. আব্দুস সালাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মামলাটি পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আসামি ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অপর দুই আসামি হলেন আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান ও স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান। তবে স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
জানা গেছে, অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোসাদ্দেক আলী ফালু, একরামুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান ও আমির হোসাইন ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং থ্রি স্টার লিমিটেড নামে অফশোর কোম্পানি খোলেন। পরে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ওই অর্থ উর্পাজনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে, তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনো জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে বিএনপি দল ক্ষমতায় থাকাকালে মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন।