ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশ। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমানকে এ কথা জানান।
এর আগে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর ‘ক্রেডেনশিয়াল’ (পরিচয়পত্র) পেশ করেন। স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস দ্বারা আবদ্ধ এবং এই অনন্য মেলবন্ধন যৌথ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে।
ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বলে মন্তব্য করেন ভারতে রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। একই সঙ্গে তিনি ঢাকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের যৌথ উদযাপনের বিষয়টি আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চলমান রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। তিনি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।