ঢাকাশুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান টানেল এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৪:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্থাপিত দেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সকাল এগারটায় সম্পন্ন হয়।

 

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রা্মের পতেঙ্গা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী্সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়য় এর সচিব মোঃ মনজুর হোসেন।। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪৩ কিলোমিটার। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন এর সহায়তায় নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে এটাই প্রথম টানেল। এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ।

 

প্রকল্পসূত্রে জানা গিয়েছে এই সুড়ঙ্গ চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে এসে শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং’কে সাথে নিয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে। এই প্রকল্পটিতে চীন পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।

 

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই টানেলটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গ মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিইয়ে শুরু হওইয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নামে এই টানেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে।