আবারও আন্দোলনের নামে বোমা মারলে, মানুষ অত্যাচার করলে একটাকেও ছাড়ব না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, হুঁশিয়ার করে বলেছি আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায় তাদের একটাকেও ছাড়ব না।
এটা হলো বাস্তব কথা।
বিএনপির শাসনামলের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে অত্যাচার-নির্যাতন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি অত্যাচার নির্যাতন করেছে। দেশের কোথাও বাদ যায়নি। মা-মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে ৬ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পায়নি। ঠিক একইভাবে ৭১ এ নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছিল।
ইসলাম ধর্মই একমাত্র নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্পদে স্বামী ও বাবার সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে ইসলাম। অথচ ধর্মের নামে নারীদের ঘরে রেখে দিতে চায়, তারা জানে না।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে গেছেন। বর্তমান সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি আরো ২৩টি আসনে নারী সংসদ সদস্য রয়েছে। সংসদ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং সমাজের সবক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।