রাউজান উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি অফিসে আজ সকালে ব্যাপক হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের সভাপতিত্বে পূর্ব নির্ধারিত রাউজান উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা সকাল ১১ টায় শুরু হয় । এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাউজান- রাঙ্গুনীয়ার সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা উওর জেলা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করতে চাইলে গোলাম আকবর খোন্দকার এর অনুসারীরা বাধা প্রদান করে, এ সময় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । ফলশ্রুতিতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল ও হাতাহাতি হয় । পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে ” চৌধুরী গ্রুপের” অনুসারীরা পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয় ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চৌধুরী গ্রুপের অনুসারী এক নেতা বলেন , ” দলীয় গঠনতন্ত্র সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আজকে একপেশে কমিটি করার জন্য এই বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছে । বর্ধিত সভায় প্রবেশ করার অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে পেশী শক্তির জোরে দলীয় অফিসে ঢুকতে বাধা দিলে আমরা তা প্রতিরোধ করে পার্টি অফিসে অবস্থান গ্রহণ করি ” ।
তবে গোলাম আকবর গ্রুপের অপর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ,
” আকবর সাহেবের ক্লিন ইমেজ সম্পর্কে সবাই অবগত । অতীতের মত এখনো উনি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান । কিন্তু কিছু ব্যক্তি দলের চেয়ে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ কে প্রাধান্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র লংঘন করতে ইচ্ছুক। দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গকারীদের সাধারণ কর্মীরা বাঁধা দিয়েছে”।
উত্তর জেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বলেন, ” দলের এই দুরবস্থায় একটি পক্ষকে দলীয় অফিসে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া সত্যিই দুঃখজনক । এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত চৌধুরী গ্রুপের অনুসারী নেতা-কর্মীরা । তাদের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়ে একপেশে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে তা দলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে” ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো বর্ধিত সভা চলছিল এবং অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতানো রয়েছে উত্তরজেলা বিএনপির অফিস প্রাঙ্গনে ।