ঢাকাশনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিশু আয়াতকে অপহরণের পর হত্যা, মরদেহ করা হয় ৬ টুকরো

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ২৫, ২০২২ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে নিখোঁজ পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আবির আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোডের পকেট গেইট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী রোড থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফাতার আবির আলী আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। সে নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন। ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোডের পকেট গেইট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী রোড থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফাতার আবির আলী আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। সে নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন। ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।

পিবিআই জানায়, আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী আয়াতকে অপহরণ করে। অপহরণের পর চিৎকার করলে আয়াতকে সে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে আকমল আলী রোডের বাসায় নিয়ে মরদেহ ৬ টুকরা করে সাগরে ফেলে দেয়।

বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘আয়াত নিখোঁজের পর থেকেই আবিরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার এক বন্ধু পুলিশকে জানায়, কিছুদিন আগে একটি ট্রলি ব্যাগ রিকশায় তুলতে সাহায্য চায় আবির। সেই সূত্র ধরেই আমরা আবিরের বাসায় অভিযান চালাই। এরপর তার বাসা থেকে আয়াতের মাথার স্কার্ফ উদ্ধার করি এবং নিশ্চিত হই আবিরই আয়াতের ঘাতক। আমরা সেখানে গিয়ে ঘাতক আবিরকে পাইনি। পরবর্তীতে পিবিআই’র একটি টিম আবিরকে গ্রেফতার করে।’

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে তাকে (আয়াত) অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবির জানিয়েছে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে।’

‘খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।’—যোগ করেন তিনি।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনের বাসা থেকে বেরিয়ে মক আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় শিশু আয়াত। নিখোঁজের পরপরই ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আয়াতের বাবা সোহেল রানা।