আইএস বধূ হিসেবে পরিচিত শামীমা বেগম এখন কার্যকরভাবে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তাকে যদি তার মা-বাবার জন্মভূমি বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়বেন। যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশনের শুনানিতে এ কথা বলেন শামীমার আইনজীবী। গতকাল বুধবার এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
কমিশনের শুনানিতে ২৩ বছর বয়সী শামীমার আইনজীবীরা বলেন, ২০১৯ সালে শামীমার নাগরিকত্ব অপসারণের সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের চিন্তা করা উচিত ছিল, তিনি (শামীমা) কখনোই বাংলাদেশ সফর করেননি এবং তার বাংলাদেশের পাসপোর্টও ছিল না।
ড্যান স্কয়ারস কেসি নামের শামীমার আইনজীবী শুনানিতে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাবেননি, তার ওই সিদ্ধান্তে শামীমাকে প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রহীন করে দেবে। তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, কোনো সুরক্ষা বা ব্যবহারিক সহায়তা দেওয়া হবে কিনা, এমনকি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা—সে বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেননি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইনজীবী বলেন, আপিলকারীর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান জানার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো কোনো পদক্ষেপও নেননি সাজিদ জাভিদ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে লন্ডন থেকে আরও দুই কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে সিরিয়া যান এবং জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেন শামীমা বেগম। পরে ২০১৯ সালে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপরই ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। বর্তমানে ২৩ বছরের শামীমা সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরেই রয়েছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শামীমাকে বাংলাদেশে পাঠালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ফাঁসির মুখে পড়তে হতে পারে।