বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ বলেছে বিএনপি। এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে জনগণই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দলটি।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
এটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। একদিকে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। ইনফ্লেশন চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে তারা দুঃসহ করে তুলেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই দাম যদি না কমানো হয়, বিদ্যুতের দাম আগের জায়গায় না নামায় তাহলে জনগণই তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ’
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভর্তুকির ভার কমাতে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সর্বশেষ ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিইআরসি। এটা এখন বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সায় করা হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব সময় সরকার বলে, আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করি। আজকে জনগণের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে এই অনির্বাচিত সরকার। ‘
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি খাতে, মন্ত্রণালয়ে, অধিদপ্তরে দুর্নীতি এমন করেছে যে এখন কোনোমতেই সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন আইএমএফের ঋণ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে তারা জনগণের ওপরে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছে। আজকে যদি দুর্নীতি তারা (সরকার) কমাতে পারত, আজকে যদি জনগণের টাকা এভাবে পাচার না করত তাহলে এই সংকট মোকাবেলা করা জনগণের জন্য অনেক সহজ হতো। ’
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দুই সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।