সব অপেক্ষার অবসান শেষে চলে এলো দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ ফুটবল। রোববার স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণ।
বিশ্বকাপ আয়োজন উপভোগ করতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সমবেত হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও।
কাতারের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফলে ফিফার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিশ্বকাপ উপভোগে বিশেষভাবে ইসরায়েলের নাগরিকদের কাতার আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে সরাসরি চাটার্ড বিমানে করে কাতারের রাজধানী দোহায় আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাদের। রোববার (২০ নভেম্বর) তেল আবিব থেকে প্রথম ফ্লাইট দোহার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
তবে কাতারে খেলা দেখতে আসা নিজ নাগরিকদের জন্য চিন্তায় পড়েছে ইসরায়েলের সরকার। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের মুসলিম দেশ কাতারের নিয়ম-নীতি ও আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আর বিশেষ করে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন কাতারে তাদের ‘ইসরায়েলি পরিচয়’ গোপন রাখেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়, কাতারে আসবে তাদের ‘শত্রু দেশ’ ইরানের হাজার হাজার সমর্থক। ইরানিরা ইসরায়েলি পরিচয় জানতে পারলে তাদের ওপর হামলা চালাতে পারে এমন শঙ্কা কাজ করছে তাদের মধ্যে।
কাতারের আইন সম্পর্কে ধারণা ও কাতারে যাওয়া ইসরায়েলিদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক তথ্য দিতে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, কাতারে প্রকাশ্যে মদ্যপান ও সমকামিতা নিষিদ্ধ।
ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লিয়র হায়াত কাতারগামী সমর্থকদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইরানের দল বিশ্বকাপে থাকবে এবং আমরা ধারণা করছি অন্তত লাখ খানেক ইরানি বিশ্বকাপে যাবে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু দেশের মানুষ থাকবে যাদের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।’
পরিচয় গোপন রাখার ওপর জোর দিয়ে এ কূটনীতিক বলেছেন, ‘নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আপনার ইসরায়েলি পরিচয় দয়া করে গোপন রাখবেন।’
বিশেষ করে ইসরায়েলের পতাকা এবং ইসরায়েলকে নির্দেশ করে এমন নিদর্শন বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে ৪ হাজার ইসরায়েলি এবং ৮ হাজার ফিলিস্তিনি কাতার ভ্রমণের ভিসা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল