ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দিন মো. তারেকের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও প্রকৌশল দপ্তরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এক ছাত্রীর সঙ্গে দপ্তরটি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের আপত্তিকর কথোপকথন ফাঁসের জেরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে একই দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
অন্যদিকে কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে প্রকৌশল দপ্তর।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের কথোপকথনের ছয় মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও ফাঁস হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি নিয়ে শনিবার প্রকৌশল দপ্তরে গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ইসতিয়াক, শাকিল, বিন্তু, শাহিন পাশা ও উম্মে হাবিবা হ্যাপীসহ ৩০-৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রকৌশলী টুটুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যালয়ের আলমারীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনে যান। সেখানে উপাচার্যের কাছে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রকৌশল দপ্তরের তালা খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় জরুরি মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী। অভিযোগে তিনি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেন।
এ ছাড়া প্রকৌশলী টুটুলের অডিও ফাঁসের ঘটনাকে প্রকৌশল দপ্তরের জন্য বিব্রতকর দাবি করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে পৃথক আরেকটি আবেদন দেয় প্রকৌশল দপ্তর।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘হঠাৎ করেই ৪০-৫০ শিক্ষার্থী আমার কাছে এসে প্রকৌশলী টুটুলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেইনি এই প্রশ্ন করেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই তারা হঠাৎ কক্ষে ভাঙচুর শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। এটা কোনো দাবি জানানোর নিয়ম হতে পারে না। পরে আমরা জরুরি মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন দিয়েছি। ‘
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশল দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন, কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আগামীকাল এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম অডিও ফাঁসের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। তদন্ত কমিটি করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘