কক্সবাজার সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মাছ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর থেকে সৈকতের লাবণি ও কবিতা সত্বর পয়েন্টে এসব মাছ ভেসে আসে। ভেসে আসা মাছ কুড়িয়ে নিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত জুড়ে এখন শুধু মাছ আর মাছ। কিছুদিন আগে জেলিফিশ এসেছিল।
সৈকতের লাবণি পয়েন্টে দেখা গেছে, পর্যটক আর স্থানীয়রা কুড়িয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার মাছ। সেখানে আছে পোয়া, ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। মূল টানা জালে এসব মাছ পড়ার পর জেলেরা নিতে পারছেন না। সেগুলো সৈকতে ফেলে যাচ্ছেন। অনেক জেলে জালও ফেলে গেছেন।
এফবি আরিফ ট্রলারের মাঝি আবুল কাসেম বলেন, ‘১০টার দিকে লাবণি ও শৈবাল পয়েন্টের মাঝামাঝি জায়গায় জাল ফেলেছি। টানার সময় জালে মাছ থাকার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছিলাম। আমাদের ট্রলার ছোট। আমরা নেওয়ার পরও অনেক মাছ জালে থেকে যায়। সেগুলো সৈকতে ফেলে চলে যাচ্ছি। আমাদের মতো আরও অনেকে ফেলে যাচ্ছেন। আজ জালে সবচেয়ে বেশি মাছ পড়েছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, ‘যখন সৈকতে মাছ পড়ে আছে। আমিও নিয়েছি এক বস্তা। অনেকে মাছ কুড়িয়ে নিয়েছে। পোয়া, ইলিশ, ছুরিসহ বিভিন্ন রকমের মাছ রয়েছে এখানে। জানতে পেরেছি, জালে অতিরিক্ত মাছ পড়ায় জাল তুলতেও পারেননি জেলেরা। তাই ছেড়ে দিয়েছেন।’
স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও কুড়িয়ে নিচ্ছেন মাছ জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক পর্যটকও মাছ কুড়িয়েছেন। তারা কেউ কেউ সৈকতেই বিক্রি করে ফেলছেন। আবার অনেকে বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছেন।’
সৈকতের লাইফগার্ড ইনচার্জ ওসমান গনি বলেন, ‘সকালে সৈকতে মাছ ভেসে আসতে দেখা যায়। তারপর পর্যটক ও স্থানীয়রা এসব মাছ কুড়িয়ে নিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালে অতিরিক্ত মাছ ধরা পড়েছে। তাই অতিরিক্ত মাছ নিতে না পেরে সাগরে ফেলে দিচ্ছেন জেলেরা।’
বিচকর্মী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ফেলে দেওয়া মাছগুলো মূলত সৈকতে পড়ে আছে। সেগুলো সবাই নিয়ে যাচ্ছেন।’ এ নিয়ে সৈকতে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।