বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে র্যাবের সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ‘আল ইয়াকিনের’ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিজিএফআই-এর এক কর্মকর্তা ও এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। এসময় র্যাবের আরেক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। র্যাব-ডিজিএফআইয়ে যৌথ অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তুমব্রু শূন রেখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন। এছাড়া র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এলাকায় নোম্যান্স ল্যান্ডের শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের পাশের এলাকায় র্যাব সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আল ইয়াকিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। র্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে র্যাবের ওপরে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে শূন্যরেখার আশ্রয়কেন্দ্রের এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারীদের গুলিতে র্যাবের সদস্য সোহেল বড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার হাসপাতালে আনা হয়।
এদিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারসহ আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, র্যাবের সাথে গোলাগুলির পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।