দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কোনো সংসদীয় নির্বাচনে ভোট করতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে পুরো ভোট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ইসিকে। তাই আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসি গাইবান্ধার ভোটের পুনরাবৃত্তি চায় না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
গাইবান্ধার ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই বলেছি, আমরা এমন নির্বাচন দেখতে চাই না।’
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিষয়ে তদন্তের ব্যাপারেও কথা বলেন ইসি রাশেদা সুলতানা। সেই সঙ্গে এই আসনের ভোটের অনিয়মে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, গাইবান্ধার অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ভোটে দেখতে চায় না ইসি। গাইবান্ধার ঘটনাটি বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে, রসিকের ভোটে এমনটা ঘটবে না।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হলেও এ বিষয়ে কমিশন এখনও আলোচনা করেনি। তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখনও জানি না প্রতিবেদনে কী আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচন চলাকালে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন নির্বাচনে সহযোগিতা করবে না- এমনটা আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ, ফরিদপুর-২ আসন ও জেলা পরিষদসহ কয়েকটি নির্বাচন খুব সুন্দর হয়েছে। মাঠ প্রশাসন আমাদের ভালোভাবেই সহযোগিতা করেছে।’