বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটা সম্ভবনাময় পেশাতে রুপ নিয়েছে। যদিও দেশে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে কী পরিমাণ জনশক্তি জড়িত আছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কারও কাছে। তবে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অন্তত ৬ লাখ লোক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই পেশার সঙ্গে জড়িত আছে।
ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) ২০২০ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে অনলাইন লেবার সাপ্লাই কমেছে। আইএলও তাদের প্রতিবেদনে শতাংশ হারে উল্লেখ করলেও প্রকৃত সংখ্যা কারও কাছে পাওয়া যায়নি।ফ্রিল্যান্সারদের যে পরিসংখ্যান আছে, সেটা পুরোটাই অনুমাননির্ভর বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটা স্টাডির তথ্যমতে, সাড়ে ৬ লাখের মতো ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশে কাজ করেন। সেই সাথে বছরে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্র আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব ফ্রিল্যান্সার রা।
তবে বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যায় পরেছে দেশের বিশাল এই জনশক্তি। প্রথম সারির Top Rated সেলার দের তেমন সমস্যা না হলেও, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরছে মধ্যম আয়ের ফ্রিল্যান্সার রা। ফ্রিল্যানসিং এ-র জন্য মূল যে শক্তি তা হচ্ছে বিদ্যুৎ। তারপর হচ্ছে নিয়মিত অনলাইনে থাকা, এবং সে সাথে নিয়মিত অর্ডার কম্পলিট করা। আর এসব কিছু নির্ভর করে বিদ্যুৎ সেবার উপর।
এক্ষেত্রে বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যা ঠিক গভীর ভাবে ভোগাচ্ছে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের। বিদুৎ সমস্যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা ঠিকমতো রেসপন্স! কাজের গতি কোনো টায় ঠিকমতো করতে পারছেনা। এমত অবস্থায় অনেকের হাতছাড়া হচ্ছে বায়ার। অনেকেই নিতে পারছে না কাজ। বলা যেতে পারে, করোনার সময় যে ফ্রিল্যান্সিং কিছু মানুষের অর্থনীতিকে সচল করেছিলো, বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যা তার হারে হারে ভোগাচ্ছে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের।