কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ বুধবার ভোর ছয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে দুই শতাধিক সাম্পান মাঝি।
অনশন চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। নগরীর চাক্তাই খালের মোহনায় নদীতে এ অনশন ধর্মঘটের পালন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সহ চট্টগ্রামের পাঁচটি সংগঠন।
কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন। সোমবার নগরীর সদরঘাটে আয়োজিত মানবন্ধনে এ সময় বেঁধে দেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কর্ণফুলী নদী পাড়ের দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
অনশন চলাকালে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান বলেন, ’নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য আমাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের রাস্তায় আন্দোলন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোথাও কর্ণফুলী রক্ষার কথা বলেন না।’
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নদীর উভয় তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীকে ২০০০ সালের পূর্ববর্তী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।