রপ্তানি আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে, যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বাড়াতে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে চার্জ দিতে হবে না এবং বিদেশে ছুটির দিনেও বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক শেষে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এসব সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি জানান, রেমিটেন্স পাঠানো সহজ করতে ছুটির দিনেও বিদেশে থাকা ব্যাংকের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখতে সব ব্যাংক একমত হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ফি নেওয়া হবে না। রেমিটেন্স পাঠাতে কমিশন বা সেবা মাশুলের পরিমাণ খুবই কম জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ব্যাংক-টু-ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউজের উপর এবং পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণের উপরও নির্ভর করে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার ক্ষেত্রে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খাতভিত্তিক দর নির্ধারণ করে দিচ্ছে বাফেদা ও এবিবি। এর আগে ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার র্নিধারণ বাজারের উপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রেমিটেন্সে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা, যা গতকালের বৈঠকেও অপরিবর্তিত রাখা হয়।
এদিন রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। অপরদিকে আমদানিসহ অন্যান্য দর আগের মতোই থাকবে। এসব সিদ্ধান্ত ৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান বাফেদার চেয়ারম্যান।
পণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের দর আগের মতোই নির্ধারণ করা হবে রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে। অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা। এটিই আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিনিময় দর হিসেবে ধরা হচ্ছে।