ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অক্টোবরে রেমিট্যান্স এলো ১৫২ কোটি ডলার

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ২, ২০২২ ২:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

গত অক্টোবর মাসে ১৫২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছিল।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ (প্রায় ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ কোটি ১৪ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। গত বছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

 

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।

চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে তিন মাস প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসে এটি হোঁচট খেয়েছে। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরও কমে নেমে এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলা‌রে।

অক্টোবরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৫০ মার্কিন ডলার।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৬৪ লাখ, সোনালী ব্যাংকে ৮ কোটি ৯৪ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে এসেছে ৮ কোটি ৬৬ লাখ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৮ কোটি ৪৮ লাখ এবং রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার।

এদিকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের মতো সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালেও এখন প্রতি ডলারে ১০৭ টাকা পাবেন প্রবাসীরা। এত দিন যা ছিল ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া এখন থেকে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আহরণ বাবদ কোনও চার্জ বা মাশুল নেবে না ব্যাংকগুলো।

 

সোমবার (৩১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।