পটুয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও চরের বাসিন্দারা। পটুয়াখালী পৌরসভা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ করেই পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকায় শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করায় চিন্তিত উপকূলবাসী। কোনো বৃষ্টি নেই, বাতাস নেই, থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে দিনভর ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সালমা বেগম বলেন, বিকেল বেলা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি, সামান্য কিছু শুকনো খাবার পেয়েছি। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজেছি। আমাদের ঘরের সকল মালামাল ভিজে গেছে। রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। এজন্য আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পটুয়াখালী শহরের মধ্যে যে কয়টি সাইক্লোন শেল্টার ছিল সেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। নদীর পাড় সংলগ্ন যে সকল উন্নতমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে সাইক্লোন শেল্টাররে শুকনো খাবার ও পানি দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে ৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের পরিবার প্রতি এক কেজি মুড়ি, দুই প্যাকেট বিস্কুট, চিনি, গুড় এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। রাঙ্গাবালী উপজেলায় যেসব মানুষ মূল বেড়িবাঁধের বাহিরে অবস্থান করছিলেন তাদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। এই উপজেলায় বিচ্ছিন্ন চালিতাবুনিয়া এবং চর মন্তাজ ইউনিয়নের সব থেকে বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।