ঢাকারবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নভেম্বরে কমবে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ২১, ২০২২ ১:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আগামী মাসের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৯৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন চারজন।

 

রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজেস (এটিডিএস) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মশকের প্রজনন ক্ষেত্র যেগুলো আছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যার যার করণীয়-সবাই যদি যথাযথভাবে পালন করেন এবং নাগরিকরা যদি নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করি, তাহলে অবশ্যই এটি সহনীয় অবস্থায় থাকবে। কোনোভাবেই ২০১৯ সালের মতো পরিস্থিতি হওয়ার কারণ দেখি না।’

 

২০০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও মশাবাহিত এ রোগ সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গু ছড়িয়েছিল দেশজুড়ে। ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মারা গিয়েছিল ১৬৪ জনের।

 

চলতি বছরে ডেঙ্গু আবার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গুর মৌসুম জুন-জুলাই থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত বেড়েছে। এমনকি এই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১২ হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের।

 

এদিকে ডেঙ্গু রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী থাকায় সরকার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ডেঙ্গু ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ মাসের শেষ থেকে আগামী মাসের শুরুতে ডেঙ্গু কমে আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আঙ্গিনা পরিচ্ছন্নতা এবং বৃষ্টিপাত যেগুলো মশার প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করে—সেগুলো যদি না থাকে তাহলে কমে আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করেছে। এ বছর বর্ষা এসেছে দেরিতে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা মনে করি, এই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এককভাবে তো কেউ মোকাবিলা করতে পারবে না-দেশের সবাইকে মিলেই মোকাবিলা করতে হবে। সচেতনতার যে জায়গাটি আছে, খোলা জায়গায় যেখানে পাত্র পড়ে আছে, পানি জমছে আমরা ফেলে দিচ্ছি। শহরকে পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায় আছে। সেই জায়গা থেকেও যদি আমরা সচেতন হই তাহলে অবশ্যই মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো কমে আসবে, বিস্তারও কমে যাবে।

 

একদিনে ৮৯৬ জন হাসপাতালে, মৃত্যু চার

 

এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এসময়ে মারা গেছেন আরও চারজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ওই ৮৯৬ জনের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩৭ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৯ জন।

 

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৯৮ জন, আর মারা গেছেন ১১০ জন।