রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণে জ্বালানি খাতে কঠোরতা দেখালেও সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার এ কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে এবং পাবে। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমদানির ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি চলছে।’
আজ সকালে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিটি ঘরে আলো জ্বেলে সমগ্র বাংলাদেশকে আমরা আলোকিত করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, সবাইকে বিদ্যুৎ দেয়ার। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজ এবং এখানে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেই বিষয়টি সবার উপলব্ধি করা উচিত। কাজেই বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার অভিঘাত বাংলাদেশেও যে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।
এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর পারমাণবিক চুল্লি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্প অনুযায়ী, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
এ ছাড়া, দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সাল থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, রাশিয়ার পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বক্তব্য দেন।
