শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বিশ্বের কোথাও কূটনীতিকরা সেদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান না। বিদেশি কূটনীতিকদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি আমরা। আমাদের মাধ্যমেই তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন গাহি তারুণ্যের জয়গান’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, কূটনৈতিক পাড়ায় পার্টি না করে আমাদের সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে যদি আলোচনা করেন, তাতে অনেক সওয়াব হবে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পার্টি করতে হবে না। চা খেতে খেতে আলোচনা করা যাবে। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আর কেউ যদি নির্বাচনে আসতে না চায়, না আসতে পারে।
শেখ রাসেলের বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ১০ বছরের শেখ রাসেল কোনো রাজনৈতিক সমীকরণের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাকে কেন হত্যা করা হলো। সে জায়গা থেকেই কিন্তু ছাত্রলীগ, যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছে। আমারও রাজনৈতিক ওরিয়েন্টেশন হয়েছে আমরা রাসেল নামের সংগঠনের মাধ্যমে। সেখানে আমরা তার জন্মদিন, শোক মিছিলে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রাসেল ছিল না। তাহলে কেন তাকে হত্যা করা হল? এত দীর্ঘ সময় কেন লাগল তার হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতির আখড়া হয়েছিল। আমরা দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ চাই না। তিলকে তাল বানিয়ে সংবাদমাধ্যমে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়। গুটি কয়েক নেতাকর্মীর ভুলের জন্য পুরো সংগঠনকে দ্বায় দেওয়া উচিত না।
সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, যুগে যুগে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র হবে। আসুন আমরা সবাই এর প্রতিবাদ করি। আমাদের নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, আমরা ভয় পাই না।
ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, মাওলানা এহসান উদ্দিন প্রমুখ।