চিঠি আসে না…
‘রানার ছুটেছে তাই ঝুমনার ঘন্টা বাজে রাত/রানার খবরের কবিতা’-কবি সুকান্ত ভাচার্যের ফাল ‘রানারে’-এর সেই চরিত্র পাল্টেছে রানারদের ব্যস্ততাছে অক্ষমতা প্রযুক্তির কল্যাণে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইভার, ইমো, গুগল ডুয়োসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগের সময়। ব্যক্তি উদ্যোগে সমর্থন সহ চিঠিপত্র ও জরুরী কাগজপত্র বিভিন্ন পণ্যমগ্রী সংস্থা সংস্থা।
এক যুগও আগে বেশ ডাকে ডাকে যেতে যেতে। প্রবাসীরা চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে পরিবার-পরিজনের খবর।
কারো চিঠি এলে খাম ছিঁড়ে কয়েকবার পড়া, তারপর শুরু হতো উত্তর লেখার প্রস্তুতি। ডাকঘরে গিয়ে হলুদ রঙের খামের ভেতর ভাঁজ করে চিঠি দেয়া, আঠা লাগিয়ে খামের মুখ আটকে ডাকবাক্সে ফেলার পর মিলতো স্বস্তি। এরপর চলতো আবার প্রতিউত্তরের অপেক্ষা।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও ই-মেইলের মতো উন্নত প্রযুক্তির কারণে হারিয়ে গেছে সেই চিত্র।হারিয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে লেখার অভ্যাসও।
বিশ্ব ডাক দিবস ১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বের্ন শহরে বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণ করে প্ৰতি বছর ৯ অক্টোবর গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। বিশ্ব ডাক সংস্থা চিঠি লিখে তথ্য আদান-প্রদান এবং যোগাযোগের মাধ্যমে ডাক বিভাগে বৈশ্বিক বিপ্লবের সূচনা করে। ডাক সেবার প্রচার এবং প্রসার এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য।
১৯৬৯ সালে জাপানের টোকিও নেটওয়ার্ক বিশ্ব ডাক সংস্থার প্রতিষ্ঠার সদস্য, শ্রী আনন্দ মোন, এই প্রস্তাব পেশ করা হয় এবং ৯ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী ডাক হিসেবে প্রথম বার করা হয়। সেই থেকে ডাক সেবার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে বিশ্বে এই দিবস পালন করা হয়।