বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা করে আন্দোলন দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্যাতন-হত্যা করে এ দেশে আন্দোলন থামানো যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। এবারও তারা জেগে উঠছে।আজ মঙ্গলবার খিলগাঁও জোড় পুকুর মাঠের সামনে খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার যৌথ উদ্যোগে জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের ঊধর্বগতি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তিন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, মেগাপ্রজেক্টের নামে মেগাদুর্নীতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করছেন, ঘরবাড়ি তৈরি করছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিবিসিতে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচন নাকি সবচেয়ে সুন্দর সুষ্ঠু হয়। আপনার এই কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।’
সভা-সমাবেশে প্রশাসন অনুমতি দিতে গড়িমসি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারই শেষ সরকার নয়। এর পরও সরকার আসবে। আপনাদের ছবিও প্রিন্ট করা আছে, ভিডিও করা আছে, রেকর্ড করা আছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন থেকে যদি আমাদের ওপরে কখনো আক্রমণ হয় আমাদের কর্মী প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা এখন থেকে হামলা হলে প্রতিরোধ করব। আমরা এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস অপসারণের আন্দোলন শুরু করব―এই হোক আজকের শপথ।’
মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।