বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সাইবার অপরাধ এখন বিশ্বে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অপরাধ মোকাবিলা কোনো একক দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন একটি জোট গঠন এবং বিভিন্ন দেশের পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো। এক্ষেত্রে ইন্টারপা সদস্য দেশের পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা বাড়াতে একটি সম্ভাবনাময় সংগঠন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ১১তম বার্ষিক ইন্টারপা সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।আইজিপি বলেন, ইন্টারপা সম্মেলনে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংযুক্তি সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে ইন্টারপা প্রেসিডেন্ট ও তার্কিশ ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমির রেক্টর প্রফেসর ইলমাজ কোলাক এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর রেক্টর (অতিরিক্ত আইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন।
ড. বেনজীর বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বিশ্বব্যাপী মানুষ আজ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। সাইবার অপরাধীরা নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে সাইবার জগতে অপরাধ করছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল সিস্টেম ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে অপরাধ বাড়ছে তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এজন্য পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
আইজিপি বলেন, সফলতার সঙ্গে অপরাধ দমন, মোকাবিলা ও তদন্তের জন্য পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। সাইবার অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সাইবার জগতে পুলিশের নিবিড় মনিটরিং প্রত্যাশা করে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্টারপার তিন দিনের সম্মেলনকে সফল আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, এ সম্মেলনে সদস্য দেশসমূহের পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ ঘটেছে, যা সাইবার জগতে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারপা’র তিন দিনব্যাপী ১১তম বার্ষিক সম্মেলন ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু হয়। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটালাইজেশন অব পুলিশিং’।
এআর/এসকেডি