আগস্ট মাসে সারা দেশে ৯৮ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২২ জন এবং বাকি ৪ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ১৩টি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে সারা দেশে ৩৬৬ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ২২ জন নারী ও কন্যা। এর মধ্যে ২১ জন কন্যা। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে ১ জন উত্ত্যক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। এর মধ্যে তিনজন কন্যা। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছেন দুজন নারী ও কন্যা। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন একজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত এক মাসে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে একজন কন্যাসহ পাঁচজনকে যৌতুক না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে আটজন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতা শিকার হয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে দুজন কন্যা। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুজন। এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। বাকি একজন আত্মহত্যা করেছেন। বিবিধ কারণে ৫ জন কন্যাসহ ৪০ জনকে গত এক মাসে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে তিনজনকে। ৩ কন্যাসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মহিলা পরিষদের তথ্যে আরও বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে ১১ কন্যাসহ ৩০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিন কন্যাসহ পাঁচজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। ১৩ কন্যাসহ ১৫ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া এক কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনজন কন্যাসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন সাত নারী। এক মাসে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। এর মধ্যে সাতটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ কন্যাসহ ১০ নারী নানা কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।