১৫ আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা ও ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে অপশক্তি দেশকে এবং জাতির পিতার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তারা জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেস আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেছিলেন। জাতির পিতা সারাজীবন দেশ ও মানুষের কথা ভেবেছেন। স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কারাবরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কায়েদা আজমের মুখের সামনে বলে দিয়েছিলেন বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। জাতির পিতা ৬ দফা আন্দোলন শুরু করলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক হন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার অনুপ্রেরণার উৎস। ১১ দফা আন্দোলনে বঙ্গমাতা উৎসাহ যুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্ত হয়ে কোনো আলোচনায় যাবেন না। বঙ্গবন্ধু গোলটেবিল বৈঠক থেকে ‘এক ব্যক্তি এক ভোট’ আদায় করে নেন। ফলে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গমাতা ৭ মার্চের ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন তুমি ভাষণে তোমার মনে যে কথা আসে ঠিক তা বলবা। এ কারণে ৭ মার্চের ভাষণ এক কালজয়ী ভাষণ। তিনি বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনসহ সব ষড়যন্ত্রকারীর মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সব বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের বুকে মর্যাদাশালী দেশে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন আমি ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না, পেশী শক্তি বিশ্বাস করি না। তাই পার্লামেন্টকে শক্তিশালী করেছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকারকে উৎখাতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চলেছে। সন্ত্রাস দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সুন্দরবনের বনদস্যু আত্মসমর্পন করেছে। বানোয়াট কথা, মিথ্যা কথা দিয়ে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা মিডিয়ার গলা চেপে ধরিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়নি। কাউকে রক্তচক্ষু দেখাইনি।
প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের কল্যাণে সরকার কাজ করছে। বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করেছে। ৩০০০ ডলারের আয় সূচকে আমরা চলে এসেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমানে সারাবিশ্ব সঙ্কটে আছে। আমাদের যতটুকু সঙ্কট রয়েছে তা মোকাবিলার সব প্রচেষ্টা এবং সামর্থ্যও আছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের প্রত্যেকে বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। জাতির পিতার কন্যা কখনোই প্রবাসীদের অবদান ভুলে যাননি। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি।
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সবাই মিলে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে বিচারের রায় কার্যকরের জন্য কাজ করছে। পুলিশ ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছে।