সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে না পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা (পেমরা)।
বছরের শুরুতে আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও তার সরকারকে আক্রমণ করে আসছেন ইমরান। শনিবার পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নিন্দা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন তিনি।
গত সপ্তাহে তার সহযোগী শাহবাজ গিলকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে এই হুমকি দেন ইমরান। এর জেরে তার বক্তব্য আর প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেলগুলো।
জিও নিউজের জানায়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম পাকিস্তান এবং জেইউআই-এফসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং একজন মহিলা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিচার বিভাগকে আহ্বান জানিয়েছে অনেকে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, শাহবাজ গিলকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করায়অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিলেন ইমরান।
এক বিবৃতিতে পেমরা জানিয়েছে, “পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান জনাব ইমরান খান তার বক্তৃতা/বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যমে নানা অভিযোগ করছেন যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণ ও জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বক্তব্য যা পাকিস্তানের সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদ ও মিডিয়ার জন্য আচরণবিধির বিরোধী। তাই অবিলম্বে সমস্ত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ইমরান খানের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হল।”