জনপ্রিয়তা কার বেশি তা সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫-এর পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সমাবেশ করেন মানুষ সাড়া দেয় না কেন? এর কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সেদিন ৫০০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। আজকে এখানে অনেকেই এসেছেন। সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের অনেকেই এসেছেন এখানে। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা (শেখ হাসিনা) না থাকলে আজকে কী হতো বাংলাদেশের। কোথায় হতো পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
সেই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেককে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এত কিছুর পরও আপনাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। তারপরও আপনারা বলেন তার জনপ্রিয়তা তলানিতে। আপনারা নয়াপল্টনে আর প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করে বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে।
১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যার মাস্টারমাইন্ড একই ব্যক্তি বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মুফতি হান্নান বলেছেন, ‘হাওয়া ভবনের নির্দেশে এই হামলা শুরু করেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে। করোনাকালে পাওয়া গেলো ষষ্ট জন্ম দিবস। যে দলের নেতার এতগুলো জন্মদিবস তাকে কি বিশ্বাস করা যায়?