পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হবে। এ দেশে যত নাগরিক আছে, যে যেই ধর্মের হোক না কেন, সবার অধিকার সমান। শেখ হাসিনা যদি সরকার হিসেবে থাকেন, তাহলে দেশে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের দেশের উন্নয়নের মশাল অব্যাহত থাকবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সুরা ফাতিহা পাঠ করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জনগণ খুব কষ্টে আছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেল। যে তেল ৯০ টাকা ছিল, সেটা হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমি এটা কোনোভাবে অঙ্কে মেলাতে পারি না। সর্বশেষ প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। দাম বাড়া উচিত ছিল এক টাকা বা কয়েক পয়সা। কিন্তু সবকিছুর দাম হুহু করে বেড়ে উঠল। আমরা এর জন্য খুব উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের বন্ধু। সাধারণ লোকের জন্য আমাদের সরকার আছে। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করা হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইসরায়েলে যখন যুদ্ধ হয়, তেলের দাম বাড়ে আর পৃথিবীতে খাদ্যঘাটতি হয়। এখন ৫০ বছর পরে আমি তাজ্জব, এখনো তেলের দাম বেড়েছে। যুদ্ধ একটা লেগেছে আর খাদ্যদ্রব্যের দামও বাড়ছে। এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এই দেশটা আমাদের। দেশে যদি অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়, তাহলে যাঁরা অপপ্রচার করেন, তাঁরাও ভালো থাকতে পারবেন না।’
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস প্রমুখ।