চট্টগ্রামে গাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল। শনিবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রামের টাইগারপাস মোড়ে তিনি এ দাবি জানান।
বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৪২ শতাংশ। তাই সরকারের নিকট গাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানাই। এখন যে ভাড়া ১০ টাকা সেই ভাড়া ১৫ টাকা করতে হবে।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সবকিছু মাথায় রেখে গাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবনা সরকারের নিকট রাখছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। সরকার যেহেতু জ্বালানিতে লস দিচ্ছে, দাম বাড়াবে এটা স্বাভাবিক। আমাদের বিষয় চিন্তা করে সরকার যেন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। তাহলেই আমরা গাড়ি সচল রাখতে পারব।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে ডিজেলচালিত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সিএনজিচালিত বাস চলাচল করছে।
তিনি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু ভাড়া বাড়েনি। তাই ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত জ্বালানি তেলে চলে এমন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।
তিনি বলেন, আমাদের সমিতির অধীনে নগরীতে সাতশর মতো বাস চলাচল করে। এর মধ্যে পাঁচশর বেশি বাস তেলে চলাচল করে।
গতকাল (শুক্রবার) রাতেই আজ থেকে গণপরিবহন চলবে না বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন।
বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে রাতে পেট্রোল পাম্পগুলো তেল দেয়নি। সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এত দাম দিয়ে জ্বালানি কিনে একই ভাড়ায় আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না। কারণ তেলের দাম বাড়ার ফলে যা ভাড়া আসবে তার সব টাকা পেট্রোল পাম্পে দিয়ে আসতে হবে। এতে করে শ্রমিকের বেতনও হবে না, গাড়ির কিস্তিও হবে না। এই কারণে গাড়ি না চালানোটাই ভালো।
তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়িয়েছে কিন্তু বাস ভাড়া বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা দেয়নি সরকার। ফলে সকাল থেকে গাড়ির চালক ও হেলপার যদি যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে যায়, তখন যাত্রীদের সঙ্গে মারামারি, হাঙ্গামা হবে। এর থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা ভালো। তাই চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের পুনর্নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রোল ১৩০ টাকা করা হয়। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।