অবৈধ বিদেশযাত্রা ও মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, মানবপাচার সহজে বন্ধ করা সম্ভব নয়, এই অপরাধ বন্ধে সব দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার বিষয়ক আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবপাচারকারীরা ডিজিটাল স্পেসে ঢুকে গেছে, বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে তারা পাচার করছে। এমনকি পাচারের অবৈধ অর্থগুলোও তারা বিভিন্নভাবে বিদেশে পাঠাচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে মানবপাচার রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারলে মানবপাচার বন্ধ করা সম্ভব না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা দিন দিন দেশের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরো তরান্বিত করতে অন্যান্য দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টেকনাফ এবং উখিয়ায় ৩০টির বেশি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে আছে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। যারা মিয়ানমারে নানা অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। কিন্তু এসব পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এই নারী ও শিশুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল শক্তিশালী পাচার সিন্ডিকেট।