তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
শুরুতে দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা ততো চেপে বসেছে টাইগার বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডই গড়ে ফেললো স্বাগতিকরা। নুরুল হাসান সোহানদের সামনে জয়ের জন্য ২০৬ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৫ জন বোলার ব্যবহার করেন নতুন দলপতি সোহান। তাতে ফল মেলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। মিডউইকেটে তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ বলে ৮ রান করেন চাকাভা। পাওয়ার-প্লে ওই ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেকের কুইকার ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে ভেঙে দেয় উইকেট। ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। ৪৩ রানে ও ১ উইকেট হারানোর পর সফরকারী বোলারদের ওপর চড়াও হন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
এরপর ৪৩ রানে আরও একটি উইকেট গেলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জিম্বাবুয়েকে। তৃতীয় উইকেটে ওয়েসলে মাধভের ও শন উইলিয়ামস ৩৭ বলে গড়েন ৫৬ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা উইলিয়ামসনকে থামান মুস্তাফিজ। ৪ চার ও ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন উইলিয়ামসন।
৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে খেলেন মাধভের। ৬ চারে ৩৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। কম যাননি রাজাও, আরো বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় চার-ছয়ের ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি। ৫ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি কোটা পূর্ণ করেন রাজা। তবে, শেষ ওভারে অবশ্য ৪৬ বলে ৬৭ রান করে অবসরে যান মাধভের। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। আর তাতেই বাংলাদেশ দলের সামনে দাঁড়ায় ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।