ঢাকাশুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনৈতিক সমীকরণ নাকি শঙ্কা? – আইমান নাফি

আইমান নাফি
জুলাই ২৭, ২০২২ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কেমন হতে পারে আগামী নির্বাচন? দলীয় সরকার নাকি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার? ভোটের মাঠ কেমন হতে পারে। রাজনীতির মাঠে কৌশল নাকি সহিংসতা? নিরেপক্ষতা নাকি স্বৈরচারিতা। রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি কতোটুকু বা সফল? প্রশ্নটি এক ঘেয়েমি হলেও আসলেই কী অ-যৌক্তিক?

প্রায় এক দশক এর বেশি ক্ষমতা থেকে বাহিরে থাকা দলটির সভানেত্রী ও বিভিন্ন মামলায় কারাগারে বন্দি। সভানেত্রীর মুক্তির জন্য জোড়ালো কোনো আন্দোলন কিংবা ধর্মঘট করতেও দলটি যে ব্যর্থ, তা একদমই স্পষ্ট। যার ফল হিসাবে এক বছরের ও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি বেগম খালেদা জিয়া।

অসুস্থ শরীর নিয়ে প্রায়ই রাজনীতি থেকে ছিটকে পরেছেন তিনি। এদিকে দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বাহিরে। এমত অবস্থায় বিএনপি কী আসলেই তার শক্তি সঞ্চার করতে পেরেছে? প্রশ্নটা যে থেকেই গেলো।

সামনেই নির্বাচন! আওয়ামিলীগ কিংবা বিএনপির জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন এক সমীকরণ। বলা যেতে পারে আওয়ামিলীগের জন্য সবচেয়ে বড় একটি বড় চ্যালেন্জ এটি। যদিও এর আগেই দুটি পরিক্ষায় পাস করেছে সবচেয়ে প্রবীণ দলটি।

আগের (২০১৪-২০১৫) নির্বাচনের মতো চোখ থাকবে বিদেশি শক্তির। তবে এবার একটি গ্রহন যোগ্য নির্বাচন যে সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যতিত এই নির্বাচনে কী বিএনপি কী আদৌও যাবে? এখন পর্যন্ত তাদের উত্তর “না”।

অথবা নির্বাচন ব্যতিত আন্দোলনে কতোটা সফল হবে দলটা? প্রশ্নটা থেকেই গেলো। ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে কতোটুকু শিক্ষা নিলো দেশসেরা ব্যর্থ এই দলটি?

রাজনৈতিক মাঠে হরতালের মতো কর্মসূচি কিংবা অবরোধ হারিয়ে গেছে। চা এর দোকানে রাজনৈতিক আড্ডা এখন আর দেখা যায় না! তবে কী বিএনপির ও এ কী অবস্থা হবে?

তা নির্ভর করে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনের উপর। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় কী বিএনপি আদৌও প্রস্তুুত?

জনমনে ভয়! উৎকন্ঠা! আলোচনা কিংবা সমালোচনা। রাজনৈতিক মঞ্চে বিভ্রট সব আলোচনা! উন্নয়ণ নাকি দূর্ণীতি? চোখের সামনেই কী মুখথুবড়ে পরেছে দেশের অর্থনীতি। এমন হিসাব-নিকাশ তো চলছেই।

হিসাবের বেড়াজালে আটকে ছিলো করোনা! পরপরই এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ! চাপ পরেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি উপর। সংকট নেমেছে তেল,গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ নিত্যপন্যের জিনিসের। দেউলিয়া হতে হতে পতন হয়েছে লঙ্কান স্বৈরচার প্রধানের। পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে।

মাছ-মাংস সবজি-চাউল-সবকিছুতেই দামের আগুন আকাশ ছুঁয়েছে। আয় বাড়েনি মানুষের। বলা যেতেই পারে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। এরেই মাঝে সুখে আছে লুটপাট করা নেতা! কিংবা দূর্ণীতি করা আমলা। সরকারের জিরো টলারেন্স থাকলেও থেমে নেই লন্ডন আমেরিকায় টাকা পাচার। তবে কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ?

রাজনৈতিক মাঠ, থেকে মঞ্চ! এসব বিমুখী প্রশ্নের সমাধান কিংবা উত্তর কী আদৌ আছে?