ঢাকাশুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিম্বাবুয়ের সিরিজে সবাইকে নিজের কাজ নিজে করতে হবে

স্পোর্ট ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ২৭, ২০২২ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টি-২০ দলটাকে একদম ঢেলে সাজাতে চাইছে বিসিবি। পদক্ষেপটা নিয়েছে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে। দুই সিনিয়র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের প্রাধান্য দিয়েই দল গড়া হয়েছে। যার নেতৃত্ব দেবে নুরুল হাসান সোহান। সাকিব আল হাসান সফর থেকে আগেই ছুটি নেওয়ায় পঞ্চপাণ্ডবের কেউই এই দলে থাকছেন না। চ্যালেঞ্জ হলেও মাঠে এই তিন সিনিয়রের অভাব বোধ করবেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী।

টি-২০ দলটাকে একদম ঢেলে সাজাতে চাইছে বিসিবি। পদক্ষেপটা নিয়েছে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে। দুই সিনিয়র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের প্রাধান্য দিয়েই দল গড়া হয়েছে। যার নেতৃত্ব দেবে নুরুল হাসান সোহান। সাকিব আল হাসান সফর থেকে আগেই ছুটি নেওয়ায় পঞ্চপাণ্ডবের কেউই এই দলে থাকছেন না। চ্যালেঞ্জ হলেও মাঠে এই তিন সিনিয়রের অভাব বোধ করবেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী।

টি-২০ দলে নতুন বলতে কেবল পারভেজ হোসেন ইমন। দু-এক জন বাদে অনেকেরই চার-পাঁচ বছর হয়ে গেছে দলে। তাই নিজেদের একদমই তরুণ বলতে নারাজ মেহেদী। এতদিন খেলার অভিজ্ঞতা থেকে এবার সবাইকে নিজের বুদ্ধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে বলে জানালেন তিনি, ‘এত দিন (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাই, সাকিব ভাইরা বলে দিতেন এই ব্যাটারকে এভাবে বল কর, এই বল এভাবে খেল। এই সিরিজ থেকে কেউ বলবে না। সবাইকে নিজেরটা নিজে করতে হবে। এটা ভালো, কারণ সবাই ১-২ বছর খেলে ফেলেছে। সবাই নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারবে।’

মেহেদী আরও বলেন, ‘এই সিরিজ থেকে নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবো, যেহেতু সিনিয়ররা নেই। তারা এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা-বাবা ছিলেন বা অভিভাবক হিসেবে ছিলেন। এই দলের প্রায় সবাই ৩-৪-৫ বছর খেলে ফেলেছে। সবাই পরিপক্ব, মোটামুটি অভিজ্ঞ। সবার বোঝার সামর্থ্য আছে, সবাই সামর্থ্যবান।’

 

বাংলাদেশ এখনো টি-২০ মানের ব্যাটার খুঁজে পায়নি। বেশির ভাগেরই স্ট্রাইক ১২০ এর আশপাশে ঘুরে থাকে। টি-২০ ক্রিকেটের এই যুগে যা একদমই বেমানান। গায়ে জোর না থাকায় ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন না টাইগাররা। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামর্থ্যের সবটুকু দেওয়ার চেষ্টায় মেহেদী, ’আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। আমরা চাইলে আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারবো না। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে, তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়। হ্যাঁ পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে আপনার যে স্কিল আছে, একে কোচ হয়তো ১০ শতাংশ এগিয়ে দেবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশকে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। রাতারাতি পরিবর্তন করা মনে হয় না সম্ভব।’

বোলিংয়ে হাত ঘোরানোর ব্যাটিংয়েও ভালো দক্ষতা আছে মেহেদীর। বিপিএলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলে জিতিয়েছেন দলকে। কিন্তু জাতীয় দলে এসে এখনো ব্যাটিংয়ে নিজের জাত চেনাতে পারেননি। বেশির ভাগ সময়ই সাত-আটে ব্যাট করতে হয়েছে তাকে, ‘আসলে ঐ সময় এমন একটা পরিস্হিতি থাকে, আমি চাইলেই প্রথম বলে ছক্কা মারতে পারবো না। একটু ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে। ছক্কা মারতে না পারলে সিঙ্গেল, ডাবল, চার এগুলো দিয়ে পুষিয়ে দিতে হবে। তবে মাঝেমধ্যে এমন পরিস্হিতিও থাকে ২ বলে ১০ বা ১২ রান লাগে। তখনকার হিসাব-নিকাশ আলাদা। তখন ছক্কার দিকেই যাবেন। নিজের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু আছে ততটুকুই চেষ্টা করব।’