মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ চালানোর অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলার বিষয়ে মিয়ানমারের আপত্তি তোলায় আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) শুক্রবার রায় ঘোষণা করবেন।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে বেলা ৩টায় আইসিজের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোয়ান ডনাহিউয়ের সভাপতিত্বে আদালতে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
কোভিড-১৯ এর কারণে মামলার দুপক্ষের প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ আদালতে থাকতে পারবেন না। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার সে দেশের ক্ষমতা দখলের পর গণহত্যা মামলার শুনানিতে আপত্তি জানায়।
মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির উপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শুরু হয়। আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট চার দিন আপত্তি বিষয়ে উভয় পক্ষের যুক্তি-পালটা যুক্তি আদালতে শোনা হয়। শুনানিতে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কো কো হ্ল্যাং দেশটির প্রতিনিধিত্ব কর বলেন এ সময় হ্ল্যাং দাবি করেন—গণহত্যার অভিযোগ শুনানির এখতিয়ার আইসিজের নেই।
নিউইয়র্কের গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের (জিজেসি) সভাপতি আকিলা রাধাকৃষ্ণান বলেছেন—‘যৌক্তিকভাবে সম্ভবত’ আইসিজে মিয়ানমারের আপত্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করবে। আর, তা হলে এ আদালতে মামলাটি পরবর্তী পর্যায়ে যাবে। ওই পর্যায়কে বলা হয় ‘যোগ্যতা পর্ব’। সেখানে আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা বাস্তব প্রমাণাদি বিবেচনা করবেন।’
এদিকে, বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকের সভাপতি তুন খিন বলেছেন, ‘(মিয়ানমারের) আপত্তিগুলো (মামলার প্রক্রিয়া) বিলম্বের কৌশল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এবং হতাশাজনক ব্যাপারটি হলো—আইসিজে তার সিদ্ধান্ত নিতে দেড় বছর সময় নিয়েছে। গণহত্যা চলছেই। আদালত যেন আর দেরি না করা সুযোগ দেয়, তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।’