ঢাকাশুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, তাপমাত্রায় রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ১৯, ২০২২ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বজুড়ে চরম তাপ প্রবাহের পাশাপাশি পশ্চিম ইউরোপের কিছু অংশকে দাবদাহ গ্রাস করেছে। ফ্রান্স এবং স্পেনে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, পর্তুগালেও একই অবস্থা বিরাজ করছে এবং সোমবার যুক্তরাজ্যে রেকর্ড পরিমান তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের গিরোন্ডে হাজার হাজার একর জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১,৭০০ দমকল কর্মী মোতায়েন করার অনুরোধ জানানো হয়।

ফরাসি জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা মেটিও ফ্রান্সের মতে, ১৯২১ সালে ১০০ বছরেরও বেশি আগে এই আবহাওয়া কেন্দ্র খোলার পর থেকে নিকটবর্তী শহর কাজাক এ সোমবার ৪২.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস (১০৮.৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে যা ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম। পশ্চিম ফ্রান্সের প্রধান শহরগুলি, যেমন নান্টেস এবং ব্রেস্টও রেকর্ড পরিমান তাপমাত্রা ধারণ করা হয়েছে। রয়টার্স সুত্রে জানা যায়, এসব এলাকায় রাজ্য রেলওয়ে কোম্পানিকে মাদ্রিদ এবং গ্যালিসিয়ার মধ্যে পরিষেবা স্থগিত করতে বাধ্য করেছে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ বলেন, এই বছর দাবানলের কারণে স্পেনে ৭০,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি ধ্বংস হয়েছে। দেশটির কার্লোস হেলথ ইনস্টিটিউট দাবদাহের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১০ বলে অনুমান করা হয়। প্রতিবেশী পর্তুগালেও শতাধিক মানুষ মারা গেছে, যেখানে উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে জমিতে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে । শনিবারে পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতে বলা হয় যে গত সাত দিনে ৬৫৯ জন বয়স্ক মানুষ মারা গেছে। উত্তর পর্তুগালে দাবানল থেকে পালাতে গিয়ে তাদের গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর সোমবার এক বয়স্ক দম্পতিরও মৃত্যু হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিপি জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউরোপে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে মোট ১.১০০ জনের বেশি লোক মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাপমাত্রার তীব্রতা এই সপ্তাহের শুরুর দিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। সারাদেশে তাপপ্রবাহ চলার সাথে সাথে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব ইংল্যান্ডের স্যান্টন ডাউনহ্যামে ৩৮.৯ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে, এটি রেকর্ডের দিক থেকে তৃতীয়। কর্মকর্তারা আশংকা করেছেন যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

সোমবার সিএনএন-এর সাথে কথা বলার সময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইলস অ্যালেন সতর্ক করে বলেন, যে মানবজাতি যদি শীঘ্রই কার্বন নিঃসরণ কমাতে না পারে তবে এই ধরনের তাপপ্রবাহ অনিবার্য হবে। অ্যালেন সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, “এটি অস্বাভাবিক নয় কারণ আমরা কেবলমাত্র উত্তপ্ত তাপমাত্রার দিকে রয়েছি। সমাধান জানতে চাইলে প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, শিল্প জুড়ে ব্যাপক পরিবর্তন,, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা হারার ভয়ের কারণে স্বতন্ত্র কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসায়িক মডেল একতরফাভাবে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম। এটি সামগ্রিকভাবে শিল্পের উপর একটি কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা হতে হবে,”।