ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিওইএফ) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, “টানা অষ্টমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। দেশটি ২০১৪ সাল থেকে তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছে।” তবে, ডব্লিওইএফ গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২-এ, বাংলাদেশ ছয় ধাপ পিছিয়ে, ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ৭১ তম স্থানে আছে।
দেশগুলো লিঙ্গ সমতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কতটা কাছাকাছি রয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনে অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ডব্লিওইএফ এর চারটি মূল ভিত্তি হলো; অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষাগত অর্জন, স্বাস্থ্য ও অস্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। এই পরিমাপগুলোর ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬তম সংস্করণ অনুসারে, বাংলাদেশের নারীদের ক্ষেত্রে ২০২১ থেকে ২০২২ সালে সামগ্রিক লিঙ্গ-সমতা হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষাগত অর্জনে দুর্বল কর্মক্ষমতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের দিক থেকে খুব খারাপ স্কোর করেছে বাংলাদেশ। ১৪১ অবস্থানে থেকে এটি শুধুমাত্র মিশর, ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
লিঙ্গ সমতা অর্জনে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা আইসল্যান্ড ১৩ তম বারের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে৷ আফগানিস্তানে যা সর্বনিম্ন।