ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন রণিল বিক্রমাসিংহে

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুলাই ১৩, ২০২২ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে নিজেই সংবিধানের ৩৭.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই নিয়োগ দিয়েছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার তরফ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও গত কদিন ধরেই প্রেসিডেন্টের সকল বক্তব্য পার্লামেন্টের স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেই আসছিল। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

 

মূলত প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালানোর পরই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী রণিল। জনরোষ উপেক্ষা করেই অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নেন তিনি। এটি অবশ্য আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, গোটাবাইয়ার অবর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব সামলাবেন রণিলই। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রণিল যেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব না নেন। একইসঙ্গে তার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিও জোরালো হয়েছে আজ।

 

কিন্তু সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই জনরোষের মধ্যেই বুধবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন রণিল।

এর আগে দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে এরইমধ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তারা রণিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগ চান। যতদিন না দেশের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হচ্ছে ততদিন রাজপথে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন তারা। ৩১ বছর বয়স্ক ভিরাগা পেরেরা বিবিসিকে বলেন, আমাদের দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এখানে যেই মানুষেরা যোগ দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। তিনি বলেন, এখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করে চলেছি। কিন্তু আমাদের থামাতে হেলিকপ্টারে করে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এতে আমরা থামবো না। আমরা বারবার ফিরে আসবো। যতদিন না আমার ও আমার সন্তানদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হচ্ছে ততদিন আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

 

বিবিসি জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা এখন রণিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে রণিল এখন নিরাপদেই আছেন বলে জানা গেছে। তিনি তার কার্যালয়ে নেই এবং গত কদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা এর আগে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তার পরিবারের কেউ তখন সেখানে ছিল না। রণিল বিক্রমাসিংহেকেও রাজাপাকসের অন্যতম সহযোগি বলেই বিশ্বাস করা হয়। নিজে লুকিয়ে থাকলেও তার কার্যালয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। এরমধ্যে আছে দেশব্যাপী কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা জারি করা।