ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ থেকে রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট বন্ধ

Link Copied!

বিদুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, মার্কেট, শপিং মল, কাঁচাবাজার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে হাসপাতাল, রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল-রেস্তোরাঁ, নাপিত ও ওষুধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিস, ক্লাবগুলো এই নিয়মের বাইরে থাকবে।

এ সিদ্ধান্ত আজ সোমবার থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এসংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে রাত ৮টার পর সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কোরবানি সামনে রেখে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত এ সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য সুপারিশ পাঠাবে শ্রম মন্ত্রণালয়। তিনি জানান, এরই মধ্যে এ নির্দেশনা সব উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।

এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অনেক দিন ধরেই রাত ৮টার পর দেশে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নিয়ম করেছে সরকার। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেলসহ এলএনজির দাম বাড়তে থাকায় সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এ নিয়মে কড়াকড়ি করতে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে।
মুদি দোকানের ক্ষেত্রে কী হবে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, আইনে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলা হয়েছে, তার বাইরে সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে মুদি দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে। তবে কেনাকাটার জন্য দোকানে ক্রেতা থাকলে আধাঘণ্টা পর্যন্ত ক্রেতাকে কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া যাবে।

এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের জরুরি প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত। তবে আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এফবিসিসিআই আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এই সময় রাত ১০টা পর্যন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ পাঠাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে
ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস; তরিতরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, মিষ্টি ও ফুল বিক্রির দোকান; ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান; দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান; তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান; খুচরা, পেট্রল বিক্রির জন্য পেট্রল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস স্টেশন; নাপিত ও কেশ প্রসাধনীর দোকান; যেকোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্যব্যবস্থা; যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান, যা জনগণকে শক্তি আলো অথবা পানি সরবরাহ করে এবং ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে।