দেশে ভারী বর্ষণ আরও তিন দিন থাকতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে। দেশে ২০ জুন পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলতে পারে। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হবে। সিলেট অঞ্চলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রবল বজ্রপাতের আভাস রয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ দিকে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮১১ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৭ বছরের মধ্যে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। পৃথিবীতে যেসব অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তার একটি হলো চেরাপুঞ্জি।
এ বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের একটি অফিস আদেশে, ভারতের মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এ জেলায় (সুনামগঞ্জ) নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির বড় রকমের অবনতি হয়েছে সিলেটে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।